মাউশি মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘গত দুই বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে গেছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শ্রেণি কাযক্রম স্বাভাবিক করা প্রয়োজন। চলতি সপ্তাহেই মাধ্যমিকের সব স্তরে এক বিষয়ের ক্লাস বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে আশা করছি আগামী সপ্তাহ থেকে স্কুল-কলেজে স্বাভাবিক ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেয়া হবে।’

স্কুল-কলেজে শিগগিরই স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেয়া হবে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহ থেকে স্কুল-কলেজের সব শ্রেণিতে পুরোদমে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হবে।

এসব তথ্য জানান মাউশি মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘গত দুই বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে গেছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শ্রেণি কাযক্রম স্বাভাবিক করা প্রয়োজন। চলতি সপ্তাহেই মাধ্যমিকের সব স্তরে এক বিষয়ের ক্লাস বাড়ানো হয়েছে।

‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে আশা করছি আগামী সপ্তাহ থেকে স্কুল-কলেজে স্বাভাবিক ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেয়া হবে।’

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থী করোনা প্রতিরোধী টিকার দ্বিতীয় ডোজের আওতায় আসবে বলেও মনে করেন তিনি।

মাউশি মহাপরিচালক বলেন, ‘ইতোমধ্যে মাধ্যমিকের ১ কোটি ৩৬ লাখ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন। আর ১ কোটি ৫ লাখ শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ডোজের আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমানে শুধু ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীসহ যাদের দ্বিতীয় ডোজের সময় হয়নি তারা বাকি রয়েছেন। আশা করছি তাদেরকেও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’

এর আগে বুধবার ঢাকা কলেজে একাদশ শ্রেণির ওরিয়েন্টেশন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বিরতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী একই ধরনের আশাবাদের কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আজ থেকে প্রাথমিকের ক্লাস শুরু হলো। আমাদের মাধ্যমিকেও শিগগিরই স্বাভাবিক জায়গায় চলে যাবার চেষ্টা করব।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সপ্তাহে প্রতিদিন ক্লাস করছেন এসএসসি পরীক্ষার্থী ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তবে তাদের সব বিষয়ের ক্লাস হচ্ছে না। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের চারটি এবং দশম শ্রেণিতে তিনটি বিষয়ে ক্লাস হচ্ছে।

এছাড়া অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে সপ্তাহে দুই দিন তিন বিষয়ে এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে এক দিন তিন বিষয়ের ক্লাস হচ্ছে।

২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয় দুই দফায়। প্রথম দফায় প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনের বন্ধ দুয়ার।

সশরীরে ক্লাস শুরুতে চালু হয় মাধ্যমিক স্কুলে। এরপর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে। সবার পর সশরীরে ক্লাস শুরু হয় প্রাথমিকে।

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয় গত ২১ জানুয়ারি। এ দফায় শিক্ষাঙ্গনে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকে এক মাস। ২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে। আর বুধবার থেকে আবারও শুরু হয়েছে প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস।